অজ্ঞদের করণীয় : শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ আল-উসাইমিন

[et_pb_section][et_pb_row][et_pb_column type=”4_4″][et_pb_text]

যার কোনো ইলম নেই, তার জন্য আলিমদের জিজ্ঞেস করা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘অতএব জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না-থাকে।’  অন্য আয়াতে এসেছে, ‘অতএব জ্ঞানীদেরকে স্পষ্ট দলিল-প্রমাণসহ জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না-থাকে।’

সুতরাং এই শ্রেণির ব্যক্তির দায়িত্ব ও কর্তব্য জিজ্ঞেস করা। কিন্তু সে কাকে জিজ্ঞেস করবে? দেশে অনেক আলিম আছেন এবং সবাই বলছেন যে, তিনি আলিম অথবা সবার সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে, তিনি আলিম! তাহলে কাকে জিজ্ঞেস করবে? আমরা কি বলব যে, যিনি সঠিকতার অধিকতর কাছাকাছি তোমাকে তাঁকে খুজে বের করতে হবে এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করে তাঁর কথা মেনে চলতে হবে? না কি বলব, যে কাউকে ইচ্ছা তুমি জিজ্ঞেস করতে পার? কারণ, নির্দিষ্ট কোনো মাসআলায় কোনো কোনো সময়ে জ্ঞানে তুলনামূলক নিম্ন স্তরের আলিম তার চেয়ে ওপরের স্তরের আলিমের চেয়ে বেশি তওফিকপ্রাপ্ত হতে পারেন।

আলিম সমাজ এ বিষয়ে বিভিন্ন মত দিয়েছেন :

কারও মতে, সাধারণ ব্যক্তির ওপর তার এলাকার সবচেয়ে বিশ্বস্ত আলিমকে জিজ্ঞেস করা আবশ্যক। কারণ, মানুষের শারীরিক অসুস্থতার কারণে যেমন সে সবচেয়ে ভালো ডাক্তার খুঁজে, তেমনি এ ক্ষেত্রেও তা-ই করবে। কারণ জ্ঞান হলো মনের ওষুধ। তুমি তোমার অসুখের জন্য যেমন ভালো ডাক্তার নির্ণয় করো, এ ক্ষেত্রেও তোমাকে ভালো আলিম নির্ণয় করতে হবে। দুটোর মাঝে কোনোই পার্থক্য নেই।

আবার কেউ কেউ বলেন, তার জন্য এটা আবশ্যক নয়। কারণ, ভালো আলিম নির্দিষ্টভাবে প্রত্যেকটা মাসআলায় তুলনামূলক নিচের স্তরের আলিমের চেয়ে জ্ঞানী নাও হতে পারেন। সে জন্য দেখা যায়, সাহাবা কিরামের যুগে মানুষ বেশি জ্ঞানী সাহাবি থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলক কম জ্ঞানী সাহাবিকে [অনেক সময়] জিজ্ঞেস করতেন।

এ বিষয়ে আমার অভিমত হলো, সে দ্বীনদারিতায় ও জ্ঞানে তুলনামূলক উত্তম ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করবে। তবে সেটা তার জন্য ওয়াজিব নয়। কারণ, তুলনামূলক বেশী জ্ঞানী ব্যক্তি নির্দিষ্ট ওই মাসআলায় ভুল করতে পারেন এবং তুলনামূলক কম জ্ঞানী ব্যক্তি সঠিক ফাতাওয়া দিতে পারেন। সুতরাং অগ্রগণ্যতার দিক থেকে সে জ্ঞান, আল্লাহভীতি ও দ্বীনদারিতায় অধিকতর সঠিকতার নিকটবর্তী ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করবে।

________

[ সংগ্রহসূত্র : ইসলামহাউজ, আল-খিলাফু বাইনাল উলামা ]

[/et_pb_text][/et_pb_column][/et_pb_row][/et_pb_section]