আকিদাহশাস্ত্রে ইমাম আবুল হাসান আল-আশআরি

 

মুফতি সালমান মাসরুর

 

 

 

ইমাম আবুল হাসান আল-আশআরি (রাহিমাহুল্লাহ)। তাঁর জন্ম ২৬০ হিজরিতে ইরাকের বসরা নগরীতে এবং মৃত্যুও ৩২৪ হিজরিতে ইরাকের বসরা নগরীতে। তিনি প্রসিদ্ধ সাহাবি আবু মুসা আল-আশাআরি রাদিয়াল্লাহু আনহুর বংশধর। আকিদাহর ক্ষেত্রে ইমাম আবুল হাসান আল-আশআরি (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর জীবনে তিনটি ধাপ পার করেছেন। তৃতীয় ধাপে তিনি ‘আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র আকিদাহর ওপর ‘আল-ইবানাহ আন উসুলিদ দিয়ানাহ’ (الإبانة عن أصول الديانة) নামক এক অনবদ্য গ্রন্থও রচনা করে প্রমাণ করে গিয়েছেন যে, সালাফ সালিহের আকিদাহই তাঁর আকিদাহ, যা কুরআন ও সহিহ সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত। আকিদাহর ক্ষেত্রে তাঁর জীবনের তিনটি ধাপ নিয়ে আমরা সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

প্রথম ধাপ

ইমাম আল-আশআরির জীবনী নিয়ে লিখিত প্রায় সব বইয়েই এ কথা আছে যে, প্রথমে পথভ্রষ্ট মুতাযিলা সম্প্রদায়ের আকিদাহই ছিল তাঁর আকিদাহ। তিনি ৪০ বছর বয়সে উপনীত হওয়ার আগপর্যন্ত তাঁর শাইখ ও তাঁর সৎবাবা আবু আলি আল-জুব্বায়ি আল-মুতাযিলির সাহচর্যে ছিলেন এবং মুতাযিলা আকিদাহর ওপরই ছিলেন।[১]

দ্বিতীয় ধাপ

পথভ্রষ্ট মুতাযিলা সম্প্রদায় থেকে তিনি বের হয়ে যান। আবদুল্লাহ ইবনু সায়িদ ইবনি কুল্লাব আল-বাসারির মাযহাব গ্রহণ করেন।[২] তিনি ইবনু কুল্লাবের মানহাজ অনুযায়ী মুতাযিলাদের খণ্ডন করতে থাকেন।[৩] ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আবুল হাসান আল-আশআরি যখন মুতাযিলাদের আকিদাহ থেকে ফিরে আসেন, তখন তিনি আবু মুহাম্মাদ ইবনু কুল্লাবের মাসলাক গ্রহণ করেন।’[৪] তাঁর এ ধাপের বিষয়ে যে বইটি প্রতিনিধিত্ব করে—আল-লুমা ফির রাদ্দি আলা আহলিজ জাইগি ওয়াল বিদা।[৫] ভ্রান্ত মুতাযিলা, জাহমিয়া ও তাদের অনুসারীদের খণ্ডনের ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহ ও মুহাদ্দিসিনের পদ্ধতির দিকে ইবনু কুল্লাবের ঝোঁক ছিল। কিন্তু তাদের সাথে বিতর্ক শুরু হলে তিনি তাদের খণ্ডন করতে লাগলেন। যুক্তি দিয়ে বাদানুবাদ শুরু হলে তিনি এমন কিছু উসুল গ্রহণ করে নিলেন, যার প্রণেতা ছিল স্বয়ং মুতাযিলা ও জাহমিয়ারা। এখান থেকেই ইবনু কুল্লাবের পদ্ধতিতে বিদআত ঢুকে পড়ে।[৬] ইবনু কুল্লাব নতুন একটি মাযহাব আবিষ্কার করে ফেলেন। যার কিছু সালাফদের আকিদাহর সাথে মেলে আর কিছু মুতাযিলা ও জাহমিয়াদের সাথে মেলে।[৭] এ বিষয়ে ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আবু মুহাম্মাদ ইবনু কুল্লাবের আগে লোকেরা দুভাগে বিভক্ত ছিল :

১. আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ। যারা আল্লাহর সকল সিফাত (গুণাবলি) ও আফআল (কাজকর্ম) সাব্যস্ত করতেন।

২. মুতাযিলাদের একটি অংশ জাহমিয়াসহ আরও অনেকেই এসব অস্বীকার করত।

ইবনু কুল্লাব আল্লাহর সিফাতে লাযিমাহ (আবশ্যিক গুণাবলি) সাব্যস্ত করেছেন এবং আল্লাহর ইচ্ছা ও কুদরাতের সাথে সম্পৃক্ত আফআল (কাজকর্ম) ইত্যাদি নাকচ করেছেন।[৮] ইবনু কুল্লাবের এ মূলনীতিকে আবুল আব্বাস আল-কালানিসি ও আবুল হাসান আল-আশআরি গ্রহণ করেন।[৯] উল্লেখ্য, ইমাম আবুল হাসান আল-আশআরি ইবনু কুল্লাবের সরাসরি ছাত্র ছিলেন না, তবে তার মানহাজ গ্রহণ করেছিলেন এবং পরবর্তীকালের যারা আশআরি আকিদাহর অনুসারী বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন, তারা সাধারণত ইমাম আল-আশআরির এ দ্বিতীয় ধাপের মানহাজই অনুসরণ করে থাকেন। আল্লাহ তাঁদের ক্ষমা করুন।

ইবনু কুল্লাব প্রণীত এই মূলনীতিকে ইমাম আহমাদসহ অনেক আয়িম্মাতুস সালাফ (সালাফ ইমামগণ) খণ্ডন করেছেন। তাঁরা ইবনু কুল্লাব ও তাদের অনুসারীদের থেকে সতর্ক করেছেন।[১০] ইবনু কুল্লাব যে পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, তার আগের কেউ তা বলেনি। ইমাম আল-আশআরি এ পদ্ধতিকে গ্রহণ করে ইলমুল কালামে (দর্শনশাস্ত্রে) নিজেকে যুক্ত করে নেন এবং এর মাধ্যমে তিনি জাহমিয়া ও মুতাযিলাদের খণ্ডন করতে থাকেন।[১১]

তৃতীয় ধাপ

ইমাম আল-আশআরি (রাহিমাহুল্লাহ) অনেকদিন ইবুন কুল্লাবের মানহাজ (পদ্ধতি) অনুসরণ করেন। তিনি এ পদ্ধতি অনুসারে মুতাযিলা ও অন্যান্য ভ্রান্ত দলের খণ্ডন করতেন। এরপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁকে পূর্ণ হকের পথ দেখান, তাঁর অন্তর্দৃষ্টিকে আলোকিত করেন। ফলে তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর মানহাজের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর মানহাজকে আঁকড়ে ধরেন এবং ‘আল-ইবানাহ’সহ আরও কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। যা প্রমাণ করে, সালাফ সালিহের আকিদাহই তাঁর আকিদাহ, যা কুরআন ও সহিহ সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত।

তৃতীয় ধাপটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য আমরা তৃতীয় ধাপ সাব্যস্ত হওয়ার বিষয় নিয়ে কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

 

সালাফের আকিদাহর দিকে ইমাম আল-আশআরির প্রত্যাবর্তনের প্রমাণ

ইমাম আল-আশআরি (রাহিমাহুল্লাহ) যে জীবনের শেষ সময়ে কালামশাস্ত্র ছেড়ে সালাফের আকিদাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করেন, তা আমরা তিনভাবে সাব্যস্ত করব :

এক. অনেক উলামা কিরাম তাঁর জীবনী নিয়ে গবেষণা করার পর সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, ইমাম আল-আশআরি সালাফের মাযহাবের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন। যেসব আলিম তাঁর বিষয়ে এ সাক্ষ্য দিয়েছেন নিচে তাঁদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হলো[১২] :

১. শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ।[১৩]

২. ইমাম ইবনু কাইয়িমিল জাওযিয়াহ।[১৪]

৩. ইমাম ইবনু কাসির। ইমাম ইবনু কাসির (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

“ذكروا للشيخ أبي الحسن الأشعري ثلاثة أحوال:

أولها: حال الاعتزال التي رجع عنها لا محالة.

الحال الثاني: إثبات الصفات العقلية السبع وهي: الحياة, والعلم, والقدرة, والإرادة, والسمع, والبصر, والكلام. وتأويل الخبرية كالوجه واليدين والقدم والساق ونحو ذلك.

الحال الثالث: إثبات ذلك كله من غير تكييف, ولا تشبيه, جرياً

على منوال السلف، وهي طريقته في (الإبانة) التي صنفها آخراً”  ا هـ

 ‘উলামা কিরাম আবুল হাসান আল-আশআরির তিনটি অবস্থা উল্লেখ করেছেন :

. মুতাযিলাদের  আকিদাহয় বিশ্বাসী ছিলেন এবং তা থেকে অবশ্যই ফিরে এসেছেন।

খ. আল্লাহর জন্য সাতটি আকলিয়াহ সিফাত (যেসব গুণাবলি বিবেক-বুদ্ধি সমর্থন করে) সাব্যস্ত করতেন। সাতটি আকলিয়াহ সিফাত হলো—হায়াত, ইলম, ইরাদাহ (ইচ্ছা), সাম (শ্রবণ), বাসার (দেখা), কালাম (কথা বলা)। আর খাবারিয়াহ সিফাত তাবিল (ব্যাখ্যা) করতেন। যেমন, চেহারা, দুই হাত, পা, পায়ের গোছা ইত্যাদি।

গ. ইমাম আল-আশআরি (রাহিমাহুল্লাহ) আল্লাহর সকল সিফাত (চেহারা, হাত, পা, ইলম, কুদরাত ইত্যাদি) ধরন-বর্ণনা ও তাশবিহ (উপমাদান বা সাদৃশ্য বর্ণনা) ছাড়াই সালাফের মানহাজ অনুযায়ী সাব্যস্ত করেছেন। আর এটা তাঁর শেষ বই ‘আল-ইবানাহ’রও মানহাজ।’[১৫]

৪. ইমাম যাহাবি (রাহিমাহুল্লাহ)। তিনি বলেন,

رأيت لأبي الحسن أربعة تواليف في الأصول، يذكر فيها قواعد مذهب السلف في الصفات، وقال فيها: تمر كما جاءت، ثم قال: وبذلك أقول وبه أدين ولا تؤول”

‘আমি আবুল হাসান আল-আশআরির উসুল বিষয়ক চারটি কিতাব দেখেছি। এগুলোতে তিনি সিফাতের ক্ষেত্রে সালাফের মাযহাবের মূলনীতি উল্লেখ করেছেন। তিনি সিফাতের ক্ষেত্রে বলেছেন—এগুলোর প্রকাশ্য অর্থ গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ এগুলোকে সাব্যস্ত করা হবে)। এরপর তিনি বলেন—আমি তা-ই বলি এবং এটাকেই দ্বীন মনে করি; আর এসব সিফাতের তাবিল করা হবে না।’[1৬] বরং ইমাম আয-যাহাবি তাঁর ‘আল-আরশ’ কিতাবে সুস্পষ্টভাবে বলেন,

“ولد الأشعري سنة ستين ومائتين، ومات سنة أربع وعشرين وثلاثمائة بالبصرة رحمه الله، وكان معتزليا ثم تاب، ووافق أصحاب الحديث في أشياء يخالفون فيها المعتزلة، ثم وافق أصحاب الحديث في أكثر ما يقولونه، وهو ما ذكرناه عنه من أنه نقل إجماعهم على ذلك، وأنه موافق لهم في جميع ذلك، فله ثلاثة أحوال: حال كان معتزلياً، وحال كان سنياً في بعض دون البعض، وحال كان في غالب الأصول سنياً، وهو الذي علمناه من حاله.” .

সারমর্ম হলো, তিনি জীবনে তিনটি সময় পার করেছেন :

  • তিনি মুতাযিলি ছিলেন।
  •  কিছু বিষয়ে সুন্নি (আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর অনুসারী) ছিলেন এবং কিছু বিষয়ে সুন্নি ছিলেন না।
  •  অধিকাংশ উসুলে সুন্নি ছিলেন। [১৭]

৫. আশ-শাইখ নুমান আল-আলুসি। [১৮]

৬. আশ-শাইখ আবুল মাআলি মাহমুদ আল-আলুসি। [১৯]

৭. আল্লামা মুহিব্বুদ্দিন আল-খতিব।  ইমাম মুহিব আল-খতিব যা বলেন তার সারমর্ম হলো, ইমাম আবুল হাসান আল-আশআরি সালাফের মাযহাবের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন এবং সালাফের মাযহাবের অনুসারে তাঁর শেষ কিতাব ‘আল-ইবানাহ’ লিখেছেন। সুতরাং তাঁর দিকে সম্পৃক্ত করে যদি এমন কিছু বলা হয়, যা সালাফের মানহাজের বিপরীত অথবা আশআরিরা যদি কোনোকিছু তাঁর দিকে সম্পৃক্ত করে, যা সালাফের মানহাজ পরিপন্থী, তাহলে বলা হবে তিনি তা থেকে ফিরে এসেছেন। ‘আল-ইবানাহ’সহ যেসব কিতাব সালাফদের মানহাজ অনুসারে লেখা হয়েছে, তা গ্রহণ করা হবে এবং তাঁর আগেকার ওইসব কথা অগ্রহণযোগ্য ধরা হবে।[২০]

দুই. ইমাম আল-আশআরি (রাহিমাহুল্লাহ) মুতাযিলা  আকিদাহ ও ইবনু কুল্লাবের মতাদর্শ থেকে বের হয়ে ইলমুল হাদিসের অন্যতম ইমাম যাকারিয়া আস-সাজিসহ অন্যান্য মুহাদ্দিসিন ও সালাফ থেকে আল্লাহ তাআলার সিফাত বিষয়ে সালাফের নীতি গ্রহণ করেছেন।

ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

إن الأشعري وإن كان من تلامذة المعتزلة ثم تاب، فإنه تلميذ الجبائي، ومال إلى طريقة ابن كلاب، وأخذ عن زكريا الساجي أصول الحديث بالبصرة. ثم لما قدم بغداد أخذ عن حنبلية بغداد أموراً أخرى، وذلك آخر أمره كما ذكره هو وأصحابه في كتبهم” ا هـ.

‘আল-আশআরি প্রথমে মুতাযিলা আকিদাহয় বিশ্বাসী ছিলেন। কেননা, তিনি আল-জুব্বায়ির ছাত্র ছিলেন। পরে তাওবাহ করে ইবনু কুল্লাবের মতাদর্শের দিকে ধাবিত হন। তিনি যাকারিয়া আস-সাজি থেকে বসরায় উসুলুল হাদিস গ্রহণ করেন। এরপর বাগদাদ গিয়ে হাম্বলিদের কাছ থেকে অন্যান্য বিষয় (আকিদাহ ইত্যাদি) গ্রহণ করেন। আর এটিই ছিল তাঁর জীবনের শেষ অবস্থা। তিনি নিজেই তাঁর কিতাবে এবং তাঁর ছাত্র ও অনুসারীরা তাঁদের কিতাবে এটি উল্লেখ করেছেন।’[২১]

ইমাম আয-যাহাবি (রাহিমাহুল্লাহ) ইমাম যাকারিয়া আস-সাজির জীবনী লিখতে গিয়ে বলেন,

وعنه أخذ أبوالحسن الأشعري الأصولي تحرير مقالة أهل الحديث و السلف.

‘তাঁর কাছ থেকে উসুলবিদ আবুল হাসান আল-আশআরি আহলুল হাদিস (মুহাদ্দিসিন কিরাম) ও সালাফের মূলনীতি গ্রহণ করেন।’[২২]

ইমাম আয-যাহাবি (রাহিমাহুল্লাহ) আরেক জায়গায় বলেন,

كان من أئمة الحديث ، أخذ عنه أبو الحسن الأشعري مقالة السلف في الصفات ، واعتمد عليها أبو الحسن في عدة تأليف.

‘যাকারিয়া আস-সাজি ইলমুল হাদিসের ইমামদের অন্যতম। আবুল হাসান আল-আশআরি আল্লাহ তাআলার সিফাতের বিষয়ে সালাফের নীতি তাঁর থেকেই গ্রহণ করেছেন এবং তিনি তাঁর বিভিন্ন কিতাবে এই নীতিরই অনুসরণ করেছেন।’[২৩]

তিন. তিনি সালাফের মানহাজ অনুসারে কিছু কিতাব রচনা করেছেন। তাঁর সর্বশেষ কিতাব—‘আল-ইবানাহ আন উসুলিদ দিয়ানাহ।’ এ কিতাবে তিনি ইমাম আহমাদের দিকে নিজ আকিদাহ সম্পৃক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর আকিদাহ মুহাদ্দিস ইমাম ও সালাফ সালিহের আকিদাহ। এরপর তিনি কুরআন ও বিশুদ্ধ সুন্নাহ মোতাবেক সালাফের কিছু  আকিদাহ উল্লেখ করেন। [২৪]

_____________

তথ্যসূত্র :

[১] আবু বাকর আল-মুসিলি, শুবাতুল  আকিদাহ বাইনা আবিল হাসান ওয়াল মুনতাসিবিনা ইলাইহি : ৩৯

[২] ইমাম আয-যাহাবি, সিয়ারু আলামিন নুবালা : ১১/১৭৪

[৩] আবু বাকর আল-মুসিলি, শুবাতুল আকিদাহ বাইনা আবিল হাসান ওয়াল মুনতাসিবিনা ইলাইহি : ৪২।

[৪] ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ৫/৫৫৬;  ৩/১০৩

[৫] আবু বাকর আল-মুসিলি, শুবাতুল  আকিদাহ বাইনা আবিল হাসান ওয়াল মুনতাসিবিনা ইলাইহি : ৪২

[৬] আবু বাকর আল-মুসিলি, শুবাতুল আকিদাহ বাইনা আবিল হাসান ওয়াল মুনতাসিবিনা ইলাইহি : ৪৩

[৭] আবু বাকর আল-মুসিলি, শুবাতুল  আকিদাহ বাইনা আবিল হাসান ওয়াল মুনতাসিবিনা ইলাইহি : ৪৩

[৮] ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ১৩/১৩০, ১৫৪; সংক্ষেপিত।

[৯] ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ, মুওয়াফাকাতু সারিহিল মাকুল লি সাহিহিল মানকুল : ২/৪, ৫; ‘মিনহাজুস সুন্নাহ’র পার্শ্বটীকায়।

[১০] ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ১২/৩৬৮

[১১] আবু বাকর আল-মুসিলি, শুবাতুল আকিদাহ বাইনা আবিল হাসান ওয়াল মুনতাসিবিনা ইলাইহি : ৪৫

[১২] আবু বাকর আল-মুসিলি, শুবাতুল  আকিদাহ : ৪৭

[1৩] ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ৬/৫৩

[1৪] ইমাম ইবনুল কাইয়িম, ইজতিমায়ুল জুয়ুশ আলা গাজয়িল মুআত্তিলাহ ওয়াল জাহমিয়াহ : ১১২

[1৫] তাবাকাতুল ফুকাহায়িশ শাফিইয়িন : ১/২১০; ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, মুরতাজা আয-যাবিদি: ২/৪

[1৬] ইমাম আয-যাহাবি, সিয়ারু আলামিন নুবালা : ১৫/৮৬

[1৭] ইমাম আয-যাহাবি, কিতাবুল আরশ : ৩০২-৩০৩

[1৮] ইবনুল আলুসি আল-বাগদাদি, জালায়ুল আইনাইন : ২১৩

[১৯] আবুল মাআলি, গায়াতুল আমানি ফির রাদ্দি আলান-নাবহানি : ২/৪০৮

[2০] ইমাম আয-যাহাবি, আল-মুনতাকা : ৪১; মুহিব্বুদ্দিনের টীকা।

[2১] ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ, মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ৩/২৮৮

[2২] ইমাম আয-যাহাবি, তাযকিরাতুল হুফফায : ২/৭০৯

[2৩] ইমাম আয-যাহাবি, সিয়ারু আলামিন নুবালা : ১৪/১৯৮

[2৪] ড. আলি আস-সাল্লাবি, মাদরাসাতুল আশায়িরাহ : ৩২-৩৩। তা ছাড়া অধিকাংশ আলোচনা ড. আলি আস-সাল্লাবির ‘মাদরাসাতুল আশায়িরাহ’ অবলম্বনে লেখা।

[/et_pb_text][/et_pb_column][/et_pb_row][/et_pb_section]