বাণী অফুরান
❛একজন বিবাহিতা নারীর জন্য তার পিতামাতার আনুগত্যের চেয়ে স্বামীর আনুগত্যই অধিক দ্বীনদারিতা।❜
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুয়ুল ফাতাওয়া ]
‘দ্বীনের মুসিবাত ছাড়া সব মুসিবাতই সহজ বরং প্রকৃতপক্ষে নিয়ামত। দ্বীনের মুসিবাতই প্রকৃত মুসিবাত।’
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাদারিজুস সালিকিন : ১/৩০৬ ]
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগপর্যন্ত মুমিন বান্দার কোনো আরাম-আয়েশ নেই।’
ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ)
[ কিতাবুয যুহদ ]
❛জেনে রেখো, কোনোকিছুকে আল্লাহর চেয়ে বেশি ভালোবাসলে নিশ্চিত ওই ভালোবাসার বস্তু দ্বারাই আঘাত পেতে হয়।❜
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ১/২৮ ]
‘চিত্তের প্রশান্তি এমন এক জিনিস, যার মাধ্যমে মনের যাবতীয় দুশ্চিন্তা ও দুঃখ-ব্যথা দূর হয়ে যায়।’
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ আর-রুহ, পৃষ্ঠা : ৪০১ ]
❛হে আতা, তাদের কাছে কখনো কোনোকিছু চেয়ো না যারা রাত হলে দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়, দরজায় পাহারাদার বসায়। তুমি তাঁর কাছেই চাও যিনি কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর দরজা খোলা রেখেছেন, আর তিনি এতে কোনো প্রহরীও নিযুক্ত করেননি।❜
আতা ইবনু আবি রবার প্রতি তাউস বিন কাইসান
[ আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, খণ্ড : ৯ , পৃষ্ঠা : ২৩৫ ]
‘স্বামীর সংসারে স্ত্রীর জবান যখন দীর্ঘ হয়ে যায়, তার স্বামীসান্নিধ্যের দিনগুলোও কমে যেতে থাকে।’
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ২৩/৩৬০ ]
‘তাওহিদই অন্তর ও মনের সর্বপ্রথম পরিশুদ্ধকারী।’
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ইগাসাতুল লাহফান মিন মাসায়িদিশ শাইতান : ১/১০৮]
‘জ্ঞাত বিষয় হলো, একমাত্র সত্যানুসন্ধানী লোকই সত্য গ্রহণ করে থাকে।’
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুআতুত-তাওহিদ আর-রিসালাতুল উলা : ৬৫ ]
‘(আল্লাহর কাছে) শ্রেষ্ঠ পদমর্যাদার জন্য প্রয়োজন ইস্তিকামাহ।’
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[মাদারিজুস সালিকিন : ২/১০৬]
‘হক সর্বদাই বিজয়ী ও পরীক্ষার সম্মুখীন। সুতরাং আল্লাহর এই দুটো চিরন্তন রীতির ব্যাপারে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই।’
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ আল-কাসিদাতুন নুনিয়াহ : ২/১৪ ]
‘নির্জনাবাসের যুগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো কোনো শ্রেষ্ঠ তরিকা আছে বলে আমার জানা নেই, যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়।’
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মুওয়াল্লাফাতিহি : ৬/২৮৮ ]
‘দুনিয়াবিমুখতা ছাড়া ইখলাস অর্জিত হয় না। আল্লাহভীতি ছাড়া দুনিয়াবিমুখতা হাসিল হয় না। আর আল্লাহভীতি হলো শরিয়াহর আদেশ-নিষেধের অনুসরণ।’
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ১/৯৪ ]
‘হে আল্লাহ,
ইমাম ইবনুল জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
আপনার থেকে কিছু অর্জন না করতে পারার পরিতাপে যে অশ্রু ঝরে, তার প্রতি অনুগ্রহ করুন!
আপনার থেকে দূরে থাকায় যে হৃদয় অনুতাপে দগ্ধ হচ্ছে, তার প্রতি অনুগ্রহ করুন, হে আল্লাহ!’
‘কোনো ব্যক্তির কথা দিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা মাপা কারও জন্যই বৈধ নয়।’
ইমাম ইবনু হাযম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ রিসালাতুন ফিল ইমামাহ ]
‘আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে নিরাশ হওয়া কারও জন্যই জায়িয নয়, যদিও তার পাপ অনেক গুরুতর হয়।’
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ১৬/১৯ ]
‘সব মিসকিনের বড় মিসকিন সেই, যে তার সারাটা জীবন ব্যয় করল জ্ঞানের অন্বেষণে, অথচ সে অনুযায়ী আমল করল না। ফলে সে দুনিয়াবী সুখ থেকে বঞ্চিত হলো এবং আখিরাতের কল্যাণ থেকেও বঞ্চিত হলো। এরপর নিজের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সাক্ষ্যের বোঝা নিয়ে সে নিঃস্ব অবস্থায় হাশরের ময়দানে উপস্থিত হলো।
ইমাম ইবনুল জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
[ সাইদুল খাতির, পৃষ্ঠা : ১৫৯ ]
‘পরস্পর আল্লাহর জন্য ভালোবাসাপ্রবণ ব্যক্তিরা জাগতিক বিষয় দ্বারা পৃথক হয় না। তারা একে অপরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে এবং তাদের মাঝে কেবল মৃত্যু ছাড়া আর কিছু আসতে পারে না। এমনকি তারা যদি একে অপরের সাথে কিছু যুলমও করে অথবা কিছু হক আদায়ে কমতি থাকে, তবু তাদের পারস্পরিক সম্পর্কে এর কোনো প্রভাব পড়ে না।’
ইমাম ইবনু উসাইমিন (রাহিমাহুল্লাহ)
[ শারহু রিয়াদিস সালিহিন, খণ্ড : ৩ ]
‘মানুষ মুসিবত গুণে রাখে আর নিয়ামত ভুলে যায়।’
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ২০/১৪৯ ]
‘এটা ফিকহের সর্বোচ্চ জ্ঞান যে, একজন মানুষ মনে করবে তার পাপ তাকে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত তাড়া করবে; এই পাপ শেষমুহূর্তে ভালো মৃত্যু এবং তার মাঝে প্রতিবন্ধক হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে।’
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ আদ-দাউ ওয়াদ-দাওয়া, ৩৯০ ]
‘আসল দরিদ্রতা তো হলো ‘আল-বাকিয়াতুস-সালিহাত (আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) বলা থেকে দেওলিয়া হয়ে পড়া।’
শাইখ আবদুর রহমান আস-সাদি (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুয়ু মুওয়াল্লাফাতিহি : ৬/১৭৮ ]
‘মহান আল্লাহকে ভয় করাটাই দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণের মূল।’
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ জামিয়ুল মাসায়িল : ৯/১৭৯ ]
‘সাহাবা কিরাম অবিচ্ছিন্ন এক আকিদাহর ওপরই অনড় ছিলেন। কারণ, তাঁরা ওহির যুগ ও উত্তম সাহচর্য পেয়েছিলেন।’
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মিফতাহু দারিস-সাআদাহ : ২/১৪৩ ]
তিনটি জিনিস যার মাঝে থাকবে, সে পুণ্য লাভ করবে :
ইমাম ওয়াহহাব ইবনু মুনাব্বিহ (রাহিমাহুল্লাহ)
১. দান করা।
২. কষ্টে ধৈর্যধারণ করা।
৩. উত্তম কথা বলা।
[ সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৪/৫৫০ ]
‘দুআর আগে, মাঝে ও শেষে রাসুলের প্রতি সালাত (দরুদ) পাঠ করাটা এমন অধিক শক্তিশালী কারণ, যার মাধ্যমে দুআ কবুল হওয়ার আশা করা যায়।’
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ ইকতিযাউস সিরাতিল মুসতাকিম : ২/২৪৭ ]
‘বান্দা যদি কোনো পাহাড় সরাতে আদিষ্ট হয় আর যদি সে কাজে আল্লাহর ওপর যথার্থ ভরসা করতে পারে, তবে সে পাহাড়ও সরিয়ে দিতে পারবে।’
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাদারিজুস সালিকীন- ২/১১৩ ]
‘কোনোপ্রকার ইলম (জ্ঞান) ছাড়াই যে আল্লাহর ইবাদত করে, সে (সমাজ) সংশোধন করার চেয়ে বিবাদই বেশি করে।’
উমার ইবনু আবদিল আযিয (রাহিমাহুল্লাহ)
[ আল-ইস্তিকামাহ লি ইবনি তাইমিয়াহ : ২/২২৯ ]
‘সত্যবাদী আত্মা এবং মানুষের উত্তম দুয়া এমন সেনাবাহিনী, যা কখনোই পরাজিত হয় না’
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ২৮/৬৪৪ ]
‘মোটকথা, অন্তরের জন্য ইলমের উদাহরণ মাছের জন্য পানির মতো—মাছ পানি না-পেলে মারা যায়।’
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মিফতাহু দারিস সাআদাহ : ১/৩৭১]
‘এই দুনিয়ায় বসবাসরত একজন মানুষের স্থায়ী সুখ বাকি থাকাটা অসম্ভব; বরং কোনো একটি দিন তার জন্য দুঃখের হবে তো আরেকটি দিন সুখের হবে।’
ইমাম ইবনু উসাইমিন (রাহিমাহুল্লাহ)
[ শারহু রিয়াদিস-সালিহিন : ১/২৩৪ ]