উসতায শাইখুল ইসলাম
১৯ হিজরিতে ইয়ামানে জন্মগ্রহণকারী পারস্য বংশদ্ভূত হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (মৃত্যু : ১০১ হিজরি) ছিলেন বিখ্যাত তাবিয়ি এবং হাদিসশাস্ত্রের সিকাহ (নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত) ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন সাহাবি আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর ছাত্র। ইবনু আব্বাস, ইবনু যুবাইর, ইবনু উমার ও মুআবিয়া রাদিআল্লাহু আনহুম থেকেও হাদিস শুনেছেন তিনি। তিনি সরাসরি সাহাবি আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাজলিসে বসে হাদিস শুনতেন এবং লিপিবদ্ধ করতেন। পরবর্তীকালে স্বলিখিত পাণ্ডুলিপি থেকে নিজেই দারস দিতেন। হাদিসশাস্ত্রের অন্যতম বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী মামার ইবনু রাশিদ হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহের মাজলিসে বসে তাঁর থেকে পাণ্ডুলিপির হাদিসগুলো শুনেছেন। মামার থেকে এটি গ্রহণ করেছেন আবদুর রাযযাক। তিনি নিজ মুসান্নাফ গ্রন্থে ওই পাণ্ডুলিপির অনেক হাদিস উল্লেখও করেছেন।
ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বলও মুসনাদ গ্রন্থে উক্ত পাণ্ডুলিপির সবকটি হাদিস উল্লেখ করেছেন। বুখারি, মুসলিমসহ অন্যান্য কিতাবেও এর হাদিসগুলো এসেছে। তবে পার্থক্য হলো, পরবর্তীতে যারাই এ থেকে নিজ নিজ গ্রন্থে হাদিস উল্লেখ করেছেন, সবাই সনদসহ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পাণ্ডুলিপিটিতে কোনো সনদ নেই, সরাসরি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। হাদিসগুলো হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ সরাসরি আবু হুরাইরাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে শোনার ফলে সনদ উল্লেখ করার প্রয়োজনই ছিল না।
অন্যান্য হাদিসগ্রন্থে এর হাদিসগুলো চলে আসায় এই বইটি সবার চোখের আড়ালেই থেকে যায় এবং একসময় হারিয়েও যায়। বিংশ শতাব্দীতে মুহাম্মাদ হামিদুল্লাহ হায়দারাবাদি (মৃত্যু : ২০০২ খ্রিষ্টাব্দ) জার্মানির বার্লিনের একটি সরকারি লাইব্রেরিতে পাণ্ডুলিপিটির সন্ধান পান। আরেকটি পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় দিমাশকের একটি প্রাচীন লাইব্রেরিতে। তিনি উভয় পাণ্ডুলিপি মিলিয়ে দেখেন কোনো পার্থক্য নেই। পরে তা ছাপিয়ে প্রিন্টকপি বের করা হয়। অনলাইনে বইটির পিডিএফও রয়েছে। এতে হাদিসের সংখ্যা ১৩৮টি। সবগুলো হাদিসই মারফু। ‘মুসনাদু আহমাদ’-এ এর সব হাদিসই রয়েছে।
হাদিসের এই কিতাবটির নাম কী? সম্ভব হলে পিডিএফ লিংকটি দিবেন, মুতালাআ করবো আল্লাহর ইচ্ছায়।