শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি : তাওহিদের জীবন্ত চিহ্ন

সংকলন ও ভাষান্তর : তাইব হোসেন

 

জন্ম ও পরিচয়

আবু মুহাম্মাদ আসিম বিন মুহাম্মাদ বিন তাহির আল-বারকাওয়ি। সবার কাছে আবু মুহাম্মাদ আল-মাকদিসি হিসেবেই পরিচিত। মূলত তিনি আরবের উতাইবা গোত্রের লোক। ১৩৭৮ হিজরিতে (১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দ) ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলুসে তাঁর জন্ম। সে সময়ে পশ্চিম তীর জর্দানের অংশ ছিল। তিন বা চার বছর বয়সেই পরিবারের সাথে কুয়েতে চলে আসেন তিনি।

পড়াশোনা ও ইলম-অর্জন

শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি কুয়েতেই সানাবিয়া (উচ্চমাধ্যমিক) পড়া শেষ করেন। সানাবিয়ায় পড়ার শেষের দিকে বিভিন্ন ইসলামি দলের সংস্পর্শে আসেন তিনি। শাইখের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিয়াহর ওপর অধ্যয়ন করবেন। কিন্তু তাঁর বাবা-মা চাইতেন তাঁদের ছেলে যেন ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করে। যা হোক, বাবার আগ্রহ ও ইচ্ছায় তিনি ইরাকের মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্সের কোনো এক বিষয়ে (সম্ভবত বায়োলজি) পড়তে যান। একপর্যায়ে সহশিক্ষার জন্য তিনি পড়াশোনা চালাতে আর ইচ্ছুক ছিলেন না। এক ছুটিতে তিনি কুয়েত থেকে জর্দানে শাইখ আলবানির সাথে দেখা করতে আসেন। সহশিক্ষার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে শাইখ আলবানি বলেন, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ। সহশিক্ষায় পড়াশোনার ব্যাপারে জানতে চেয়ে তিনি শাইখ বিন বাযকেও টেলিগ্রাম করেন। শাইখ বিন বাযও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ বলেন। সেই সাথে এও আশ্বাস দেন তিনি তাঁকে সৌদির কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবেন।

শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি তিন বছর পর মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে দ্বীনি ইলম অর্জন করার জন্য মদিনায় সফর করেন, তারপর হিজাযে যান। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ছাত্র না-হওয়া সত্ত্বেও শাইখ বিন বাযের কল্যাণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারতেন। শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি কুয়েত ও হিজাযের উলামা কিরাম থেকে ইলম অর্জন করেন। হিজাযে তালিবুল ইলম ও শাইখদের সাথে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। শাইখ আল-বারকাওয়ি শাইখ বিন বাযের বিভিন্ন দারসে বসেছেন। যখনই সুযোগ পেয়েছেন শাইখের দারসে বসেছেন। দীর্ঘ সময় মদিনাতে থাকা তাঁর জন্য সম্ভব হতো না, ফলে তিনি তাঁর কাছে পুরো বই শেষ করতে পারতেন না। এ ছাড়াও উনাইযাহতে শাইখ ইবনু উসাইমিনের দারসেও বসেন তিনি। শাইখ আলবানি যখনই কুয়েতে আসতেন, তিনি তাঁর দারসে বসতেন।

শাইখ আল-বারকাওয়ি ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ এবং তাঁর ছাত্র ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুমাল্লাহর বইগুলো অধ্যয়নে নিজেকে একান্তভাবে নিয়োজিত করেন। এ ছাড়াও মদিনায় সফরকালে শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাবের বইপত্র এবং তাঁর ছাত্র, পুত্র, নাতি ও নাজদি দাওয়াহর ইমামদের লেখনীর প্রতি তাঁর আকর্ষণ জাগে। শাইখ আল-বারকাওয়ি এই বইগুলো অধ্যয়ন করার জন্য একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর পরবর্তীকালের জীবন-দিকনির্দেশনায় এই বইগুলোর অসাধারণ প্রভাব ছিল।

উলামাদের সাক্ষ্য

সমকালীন বহু নির্ভরযোগ্য উলামা কিরাম শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ির ইলমের সাক্ষ্য দেন। তাঁর রচনাবলির প্রশংসা করেন। তাঁদের মাঝে শাইখুল মাশায়িখ আল্লামা হামুদ বিন উকলা আশ-শুয়াইবি (রাহিমাহুল্লাহ) অন্যতম। তিনি শাইখ আল-বারকাওয়ির রচনাবলি পড়তে, তাঁর অধীনে শিক্ষাগ্রহণে জোর দেন। তিনি তাঁর প্রশংসা করতেন, তাঁর প্রতিরক্ষা করতেন, তাঁর জন্য দুআও করতেন। তাঁদের উভয়ের মাঝে চিঠিপত্র বিনিময় হতো, নিয়মিত যোগাযোগও হতো। শাইখুল মাশায়িখ আল্লামা হামুদ বিন উকলা আশ-শুয়াইবি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন যে, শাইখ আল-বারকাওয়ি আহলুস সুন্নাহর শির সমুন্নত করেছেন। মুহাদ্দিসুল মাগরিব শাইখ মুহাম্মাদ বিন আমিন আবদিল্লাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি তাঁকে তাঁর রচনাবলির মাধ্যমে চিনি। তিনি সৌদিসহ অন্যান্যদের অবস্থাদি নিয়ে যা লিখেছেন, এর সিংহভাগই বিশুদ্ধ।’ তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, শাইখের আকিদাহ বিশুদ্ধ কি না? উত্তরে তিনি হাঁ বলেছেন।

বিদগ্ধ ইতিহাসবিদ শাইখ ড. হানি আস-সিবায়ি বলেন, ‘শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি হলেন সাবত, সিকাহ, মুতকিন ও মামুন (এসব শব্দ হাদিসশাস্ত্রীয় পরিভাষা, যা কোনো রাবির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তাদিল বোঝায়)। তিনি নিরাপদ আকিদাহর অধিকারী। তাগূত ও তাদের সহযোগীদের গলার কাঁটা। তিনি আহলুস সুন্নাহর পতাকা। তাঁর রচনাবলি ও মতামত তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য ও ব্যাপক জানাশোনার ওপর প্রামাণ্য দলিল।’ শাইখ উমার মাহমুদ উসমান ফিলিস্তিনি কয়েকজন আলিমের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, ‘যেমন, প্রিয় ভাই আমাদের শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি। যিনি সবসময়ই অটল ব্যক্তি। তিনি হিদায়াতের ইমাম।’

শাইখ আলি আল-খুদাইর বলেছেন, ‘তাঁরা আহলুস সুন্নাহর আলিম। তাওহিদ ও আকিদাহর আলিম।’ তাঁর ‘হাযিহি আকিদাতুনা’ বই সম্পর্কে শাইখ আবদুল মুনিম মুসতাফা হালিমা মূল্যায়ন করেন, ‘আমি এ বইকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মূল্যবান ও উপকারী হিসেবেই পেয়েছি। ছাত্র ও সাধারণ মুসলিমদের জন্য মৌলিক পাঠ্যবই হিসেবে একে পাঠদান করা যায়।’

মহৎ চরিত্র

শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ির মাঝে উন্নত চরিত্রের বিকাশ ঘটেছিল। তাঁর আদব-আখলাকের ব্যাপারে আরবের প্রখ্যাত দায়ি ড. ইয়াদ কুনাইবি বলেন, ‘আমার খুব কাছের, প্রিয় এক ভাই…আবু মুহাম্মাদ। চিনি বেশ অনেকদিন ধরেই। বড় মনের মানুষ। অসাধারণ আদব ও আখলাক। একবার কাছ থেকে দেখার পর ভালো না-বেসে থাকা কঠিন।’

শাইখের উন্নত চরিত্র বর্ণনা দিতে ড. ইয়াদ কুনাইবি একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘তাঁর এক ভাই আছে। দুঃখজনকভাবে তার স্বভাব আবু মুহাম্মাদের ঠিক বিপরীত। জর্দানেই কাজ করতেন একজন মিসরীয় ভাই। কোনো এক কারণে কোনো একদিন সেই মিসরীয়কে অপমান করল আবু মুহাম্মাদের ভাই।

দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে উপস্থিত মানুষের সামনে সেই মিসরীয় অভিযোগ জানাল, “একজন মানুষের সম্বল কেবল তার আত্মসম্মান। আমরা গরিব। মিসর থেকে এখানে এসেছি পেটের দায়ে, কাজ করতে। এ দেশে আমাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। কোনো অভিভাবক নেই। নিজের বলতে আছে শুধু এই আত্মসম্মান। যদি এটিও হারিয়ে যায় তাহলে আমি আর জর্দানে থাকতে চাই না। এর চেয়ে সম্মান নিয়ে মিসরে ফিরে যাওয়াই ভালো।” বুকভরা ব্যথা নিয়ে টলোটলো চোখে কথাগুলো বলছিলেন মিসরের সেই ভাই।

জন্মভূমির অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে বাধ্য হয়ে মানুষটা আজ ভিনদেশে। আর দশজনের মতো তিনিও চান নিজ পরিবার-পরিজনের সাথে নিজের ভিটেমাটিতে থাকতে। তিনি ফিরে যেতে চান। কিন্তু জীবিকার তাগিদে তাকে থাকতে হয়। অসুস্থ বাবা-মায়ের ওষুধের খরচ, সন্তানদের পোশাক আর খাবারের খরচের চিন্তা তাঁকে ফিরতে দেয় না। প্রতিনিয়ত নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে পড়ে থাকতে হয় এ বিদেশ-বিভুঁইয়ে। তার কথায় ক্ষোভ ছিল না, অভিযোগ ছিল না। ছিল শুধু অশ্রুভেজা দীর্ঘশ্বাস, আর প্রগাঢ় কষ্ট। একসময় আবু মুহাম্মাদের কানে কথাগুলো পৌঁছাল। জানতে পারলেন তাঁর ভাই এক মিসরীয়কে অপমান করেছে। আবু মুহাম্মাদ মিসরীয় লোকটির কাছে গেলেন। “আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।”

 “ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু”, জবাব দিল ক্লান্ত চোখের মিসরীয়।

বাম পায়ের জুতোটা খুলে মিসরীয় মানুষটার হাতে তুলে দিলেন আবু মুহাম্মাদ। জুতো হাতে নিয়ে অবাক, অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইল লোকটি। মিসরীয় মানুষটার একদম সামনে এসে মাথা নিচু করে দাঁড়ালেন আবু মুহাম্মাদ।

তারপর বললেন, “আমি শুনেছি অমুক ব্যক্তি আপনাকে অপমান করেছে। এ জুতো দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করুন এবং আপনার হক আদায় করে নিন।”

“না ভাই! আমি কেন তা করতে যাব? আর এর সাথে আপনার সম্পর্কই-বা কী?”—লোকটি বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করল।

শান্ত, নরম গলায় আবু মুহাম্মাদ জবাব দিলেন, “যে আপনাকে অপমান করেছে, আমি তার ভাই। আমি শুনেছি আপনি বলেছেন—আমাদের নিজের বলতে আছে শুধু এই আত্মসম্মান; যদি এটাও হারিয়ে যায়, তাহলে আমি আর জর্ডানে থাকতে চাই না। ভাই আপনি জর্ডানে মাথা উঁচু করে থাকবেন। আপনার সম্মান অটুট থাকবে। আমরা এখানে সবাই আপনার ভাই, কেউ আপনাকে আর অপমান করার স্পর্ধা দেখাবে না।”

মিসরীয় মানুষটার কাঁপাকাঁপা হাত থেকে পড়ে গেল জুতোটা। এক ঝটকায় আবু মুহাম্মাদকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। চুমু খেলেন তাঁর মাথায়। ইমান ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের এ দৃষ্টান্ত দেখে তাঁর চেহারা আর মন থেকে দূর হয়ে গেল দুঃখের সব ছাপ।’

দাওয়াহ ও কর্মমুখর জীবন

বর্তমানে হক আলিমের অন্যতম একজন হলেন শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল-বারকাওয়ি। আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের যোগ্য ওয়ারিশ হিসেবে তিনি তাওহিদের দাওয়াহকেই বেছে নিয়েছেন। এ পথে তিনি নির্যাতন, কারাভোগ কোনোকিছুরই  পরোয়া করেননি আর বাস্তবিকই এর প্রমাণ দিয়েছেন এবং এখনো এ পথেই চলেছেন। তাওহিদের পথে তাঁর কারাজীবন পূণ্যবান সালাফদের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এ পথের দাওয়াতে শাসকশ্রেণির রক্তচক্ষু,  ভ্রষ্ট আলিমদের বক্তৃতা ও লেখনীর দিকে তিনি মোটেও ভ্রূক্ষেপ করেননি, বরং তিনি কিতাব ও সুন্নাহর মাধ্যমে সবার সমুচিত জবাব দিয়েছেন, বিভ্রান্তি নিরসন করেছেন এবং এখনো তা-ই করছেন। সমগ্র বিশ্বব্যাপী তাওহিদবাদীদের জন্য তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে বারাকাহস্বরূপ। আফগান-যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সফর করেন। ১৯৯২ সালে জর্দানে এসে বিশুদ্ধ তাওহিদের দাওয়াহ কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে জর্দান সরকার কর্তৃক গ্রেফতার হন। ১৯৯৪-১৯৯৯ পর্যন্ত বন্দিজীবন পার করেন। এরপর আবারও ২০০৫-২০০৮ বন্দিত্ব বরণ করেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে গ্রেফতার হন এবং ২০১৪ সালে মুক্তিও পান। শাইখ এখন নজরবন্দি। সামাজিক মাধ্যমে (পূর্বের টুইটার, বর্তমানে এক্স) সক্রিয় হওয়ার ব্যাপারে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে।

শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ির রচনাবলি

দাওয়াহর পথে এই বিশাল ব্যপ্ত কারাভোগ, নির্যাতন ও ব্যস্ততার মাঝেও শাইখ তাঁর কলম ঠিকই জারি রেখে রেখেছিলেন। শাইখের কিছু বই ও গবেষণাপত্র নিচে দেয়া হলো :

১. মিল্লাতু ইবরাহিম ওয়া দাওয়াতুল আম্বিয়ায়ি ওয়াল মুরসালিন

২. ইমতাউন নাযর ফি কাশফি শুবুহাতি মুরজিয়াতিল আসর

৩. আর-রিসালাতুস সালাসিনিয়াহ ফিত-তাহযির মিনাল গুলু ফিত-তাকফির

৪. আল-কাউলুন নাফিস ফিত-তাহযির মিন খাদিয়াতি ইবলিস

৫. আদ-দিমুকরাতিয়াহ দ্বীনুন

৬. কাশফু শুবুহাতিল মুজাদিলিন আন আসাকিরিশ শিরকি ওয়া আনসারিল কাওয়ানিন

৭. কাশফুন নিকাব আন শারিয়াতিল গাব

৮. ইদাদুল কাদাতিল ফাওয়ারিস বি হাজরি ফাসাদিল মাদারিস

৯. লা তাহযান ইন্নাল্লাহা মাআনা

১০. আত-তুহফাতুল মাকদিসিয়াহ ফি মুখতাসারি তারিখিন নাসরানিয়াহ

১১. আন-নুকাতুল লাওয়ামি ফি মালহুযাতিল জামি

১২. আল-ইশরাকাহ ফি সুওয়ালাতি সুওয়াকাহ

১৩. আল-কাওয়াশিফুল জালিয়াহ ফি কুফরিদ দাওলাতিস সাউদিয়াহ

১৪. তাবসিরুল উকালা বি-তালবিসাতি আহলিত-তাজাহহুমি ওয়াল ইরজা

১৫. মাশরুউশ শারকিল আওসাতিল কাবির

১৬. ইরশাদুল মুবতাদি ইলা কাওয়ায়িদিস সাদি

১৭. মালহুযাতুল আসির আলা বাদি মাকালাতিস সাদি ফিত-তাফসির

১৮. রিসালাতানি ফি বিদায়িল মাসাজিদ

১৯. তুহফাতুল আবরার ফি আহকামি মাসাজিদিদ দিরার

২০. আল-জাওয়াবুল মুফিদ বিআন্নাল মুশারাকাতা ফিল বারলামানি ওয়া ইনতিখাবাতিহি মুনাকাযাতুন লিত-তাওহিদ

২১. আত-তালখিসাতুর রাদিয়াহ ফি শারহিল কাসিদাতিল লামিয়াহ

এ ছাড়াও শাইখের আরও রিসালা, ফাতাওয়া অনলাইনে বিদ্যমান রয়েছে।

তাওহিদের কারণে সমকালীন তাগূতগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ার অন্যতম দৃষ্টান্ত হলেন শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি। এটি সেই পথ, যে পথে গিয়েছেন নুহ, ইবরাহিম, মুসা, ঈসা আলাইহিমুস সালাম এবং সর্বশেষ আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সমকালীন মুরজিয়া ও আধুনিক তাকফিরি-খারিজিদের ব্যাপারে শাইখ বরাবরই নিরাপস ছিলেন। দ্বীন ও তাওহিদে ছাড়াছাড়ি বা বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন এবং এ পথে সবাইকে সচেতন করতে কখনো নিজ প্রাণের ব্যাপারে কুন্ঠাবোধ করেননি। আমরা দুআ করি, আল্লাহ শাইখকে তাঁর অবস্থানে অবিচল ও অটল রাখুন। যাবতীয় অনিষ্টতা ও চক্রান্ত থেকে তাঁকে রক্ষা করুন।

Leave a Reply